জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি রোধ করতে না পারলে দেশ জংলি রাষ্ট্রে পরিণত হবে। জাতির ভবিষ্যৎ ভয়াবহ হয়ে উঠবে। চরম অবনতি ঘটবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। তাই অবৈধ অস্ত্রের চালান রোধ করার পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি। বিবৃতিতে জি এম কাদের আরও বলেন, গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, সম্প্রতি যশোরের এক ছাত্রনেতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গেল কয়েক বছরে সে একাই সারা দেশে দুই শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করেছে। সে বলেছে, পাশের একটি দেশের সীমান্ত দিয়ে অভিনব কায়দায় অস্ত্র কীভাবে বাংলাদেশে এনেছে। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আরও বলেছে, অস্ত্র চোরাচালান সিন্ডিকেট বাংলাদেশে কীভাবে অস্ত্র সরবরাহ করে। এর চেয়ে ভয়াবহ খবর আর হতে পারে না। এর আগে ইসরায়েলে তৈরি অত্যাধুনিক ‘উজি’ পিস্তলসহ এক মডেলের ছবি ভাইরাল হয়েছে, অত্যাধুনিক যে অস্ত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতেও নেই। তাই সমাজের অভিভাবক মহলের মাঝে মারাত্মক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুততার সঙ্গে অবৈধ অস্ত্র আমদানি সিন্ডিকেট ও অস্ত্রবাজদের তালিকা তৈরি করতে হবে। বিশেষায়িত বাহিনী নিয়োগ করে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করতে হবে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।