গোলাম মোহাম্মদ কাদের
কো-চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি
কালেরকন্ঠ । ১২ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০
জাতীয় পার্টির ইতিহাস, এই দলের সৃষ্টি এবং পরবর্তী কার্যকলাপ দলের যেকোনো নেতাকর্মী বা সমর্থকদের দৃষ্টিতে নিম্নরূপ :

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন সেনাপ্রধান, তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। সরকারপ্রধান ছিলেন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার। সে সময়কালে দেশ রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, অন্যায়-অত্যাচার-অবিচার ইত্যাদি দেশের মানুষকে শঙ্কিত ও সংক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। দেশ পরিচালনায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এসব বিষয় সামাল দিতে ব্যর্থ হন।

এ অবস্থায় ২৪ মার্চ ১৯৮২ তারিখে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার স্বেচ্ছায় রেডিও-টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে সামরিক আইন জারি করেন। তিনি (রাষ্ট্রপতি) দেশের শাসনভার অর্পণ করেন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কাছ। এরশাদ শাসনভার গ্রহণের পরপরই সে সময়কার নানা অরাজকতার অবসান ঘটে। দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। সে সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংবাদপত্র এরশাদের দায়িত্বভার গ্রহণকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য-বিবৃতি দেয়।

গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ১ জানুয়ারি ১৯৮৬ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছরের ৭ মে তিনি জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। নির্বাচনে বিএনপি বাদে আওয়ামী লীগসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এর ফলে দেশে আবার গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।

এরশাদের শাসনামলে দেশে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, দুঃশাসন, খুন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ইত্যাদি ছিল না। মানুষের মনে স্বস্তি-সুখ-শান্তি ছিল। উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, সংস্কার, সুশাসন ইত্যাদির মাধ্যমে এরশাদ দেশের মানুষের মনে জায়গা করে নেন। তিনি দীর্ঘ ৯ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেন।

দেশের কিছু মানুষ, বিশেষ করে বুদ্ধিজীবীসমাজের একাংশ এবং প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়গুলোকে এভাবে গ্রহণ করতে রাজি নয়। তাদের ভাষায়, কোনো নিয়মমাফিক পন্থায় এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করেননি। রাষ্ট্র পরিচালনায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ব্যাকরণগতভাবে শুদ্ধ কোনো বিধি-বিধান তিনি অনুসরণ করেননি। ফলে পরিস্থিতি-পরিবেশ যা-ই হোক, তাঁর ক্ষমতা গ্রহণের বৈধতা দিতে তারা নারাজ। একইভাবে তাঁর দায়িত্ব পালনের সময় জনকল্যাণমূলক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডে জনগণ যতই লাভবান হোক না কেন, তারা সেগুলোকে তাঁর স্বেচ্ছাচারী কাজ হিসেবে চিহ্নিত করতেই স্বস্তি বোধ করে।

ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ‘Goal justifies the means.’ অর্থাৎ উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য ভালো হলে কী পথে সেটা অর্জন করা হলো (বৈধ কি অবৈধ), সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। শুনেছি ইসলামী শরিয়াহ আইনের একটি মূল স্তম্ভ হলো মানুষকে বিচার করো তার কাজের উদ্দেশ্য দিয়ে; শুধু তার কর্ম বিবেচনায় নয়। যে প্রক্রিয়ায় এরশাদ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন, সেটি ব্যতিরেকে কি অন্য কোনো পন্থায় জনগণের প্রত্যাশা পূরণ সে সময় সম্ভব ছিল? জনগণের প্রত্যাশা ছিল সার্বিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন। মানুষ এক দুঃসহ রাজনৈতিক পরিবেশ থেকে মুক্তি চেয়েছিল। এই পটপরিবর্তন যে আপামর জনগণের সেই প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়েছে, তার প্রমাণ এর পক্ষে স্বতঃস্ফূর্ত জনসমর্থন।

পটপরিবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য যে অসৎ ছিল না, তার প্রমাণ পরবর্তী ৯ বছরের দেশ পরিচালনা এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও সংস্কারকর্মের ফিরিস্তি, যা সবার জানা।

ওই সময় বিরুদ্ধ পক্ষগুলো থেকে বেশ কয়েকটি বিষয় জনস্বার্থ পরিপন্থীরূপে গণ্য করা হয়েছিল এবং ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা করা হয়েছিল; যেমন—গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিনাশ, দুর্নীতি, জনগণের কণ্ঠরোধ, সরকারি দলের ও প্রশাসনের নিবর্তনমূলক কর্মকাণ্ড ইত্যাদি।

জাতীয় পার্টির সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের পর পরবর্তী সরকারগুলোর কর্মকাণ্ড বিবেচনায় ওই সরকারই যে শুধু ওই সব দোষে দুষ্ট, এ কথা বোধ হয় কেউ আজ স্বীকার করবেন না।

জাতীয় পার্টির আমলের অনেক সংস্কারমূলক উদ্যোগ সে সময় বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছে। এরশাদকে বিশেষত একতরফাভাবে ওই সব উদ্যোগ গ্রহণের কারণেই স্বৈরাচার আখ্যা দেওয়া হয়। কাজগুলো হলো উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন, বিচারব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ (দেশে বিভিন্ন স্থানে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন), নতুন শিক্ষানীতি, স্বাস্থ্যনীতি, ঔষধনীতি ইত্যাদি প্রবর্তন, ভূমি সংস্কার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক, বীমা চালুকরণ, পথকলি ট্রাস্ট, গুচ্ছগ্রাম, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিদেশে শান্তি মিশনে প্রেরণ ইত্যাদি। পরে এ ধরনের প্রায় সব উদ্যোগই জনকল্যাণমূলক বলে স্বীকৃত হয়েছে। যদিও কিছু কাজ প্রাথমিকভাবে সরকার (জাতীয় পার্টির) পরিবর্তনের পর বন্ধ বা বাতিল করা হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তী সময়ে প্রায় সব উদ্যোগই বিভিন্ন সময়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সামান্য ভিন্ন আঙ্গিকে বা অন্য নামে, চালু করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ রাজনৈতিকভাবে মধ্যপন্থী। তারা ধর্মপ্রাণ এবং ধর্মের বিষয়ে আবেগপ্রবণ। তবে তারা সাম্প্রদায়িক নয়। বাংলাদেশের মানুষকে ধর্মনিরপেক্ষও বলা যায়। নিজ নিজ ধর্ম পালনে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ, ধার্মিক এবং একই সঙ্গে অন্য ধর্মের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সহনশীল। এটাই বাংলাদেশের জনগণের বৈশিষ্ট্য।

এ দেশের রাজনীতিতে জনসমর্থনপুষ্ট হতে হলে দলগুলোকে রাজনৈতিকভাবে এই চরিত্র ধারণ করতে হয়। এ দেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলগুলো সেটা করে এবং সে কারণে মধ্যপন্থী রাজনীতিতে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে জনসমর্থন আছে এবং রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। এই তিনটি রাজনৈতিক শক্তি মধ্যপন্থী, মোটামুটি এক ও অভিন্ন রাজনৈতিক নীতি ও দর্শনে বিশ্বাসী। তার পরও আওয়ামী লীগকে উদারপন্থী বা বাম ধারার রাজনীতির ধারক এবং বিএনপি ও জাতীয় পার্টি রক্ষণশীল বা ডান রাজনীতির ধরে নেওয়া হয়। এই চরিত্র তারা অর্জন করেছে তাদের সঙ্গী জোটভুক্ত দলগুলোর রাজনৈতিক পরিচয়ের সুবাদে। আওয়ামী লীগ উদার/বামপন্থী ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্ব দেয় এবং বিএনপি বা জাতীয় পার্টি এর বাইরের প্রধানত রক্ষণশীল/ডান ধারার দলগুলোর নেতৃত্ব দেয় বা সঙ্গে থাকে বিধায় সমমনা হিসেবে গণ্য হয়।

বাংলাদেশের জনসমষ্টির রাজনৈতিক বিভাজন এ রকম যে মধ্যপন্থী (আওয়ামী লীগ) ও উদারপন্থী দলগুলোর সম্মিলিত সংখ্যা মধ্যপন্থী (বিএনপি, জাতীয় পার্টি) ও রক্ষণশীলদের মোট সংখ্যার তুলনায় কম। রক্ষণশীলদের সংখ্যা বিশেষ করে তরুণসমাজের মধ্যে ক্রমবর্ধমান—এটা অধুনা কিছু জরিপে বেরিয়ে এসেছে।

স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরপরই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। আওয়ামী লীগ ও উদারপন্থী/বামপন্থী রাজনীতি দেশে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে। আওয়ামীবিরোধী মধ্যপন্থী জনসমষ্টি ও রক্ষণশীল/ডানপন্থী জনগণের কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মঞ্চ ছিল না। পরে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি পুনর্বাসন এবং বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর এ ধরনের জনগণের জন্য এই দলটি রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া হিসেবে বিবেচিত হয়। ভোটের রাজনীতিতে অতি দ্রুত তারা আওয়ামী লীগ ও উদারপন্থীদের বিপক্ষে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়।

বিএনপি সরকারের পতনের পর জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করেন। নানা কারণে বিএনপি তখন নেতৃত্ব সংকটে নিমজ্জিত ছিল। পরবর্তী সময়ে জেনারেল এরশাদ যখন জাতীয় পার্টি গঠন করেন, বিএনপির বেশির ভাগ নেতাকর্মী ও সমর্থক, যারা আওয়ামী লীগ বিরোধী ও রক্ষণশীল, শুধু উপযুক্ত নেতৃত্ব আছে এই বিবেচনায় জাতীয় পার্টিতে যোগ দেয়। প্রাথমিক পর্যায়ে জাতীয় পার্টি বিএনপির ভাবধারাসম্পন্ন ও মনমানসিকতার ধারক-সমর্থকদের বিকল্প রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হয়।

পরে বিএনপির নেতৃত্ব সংগঠিত হয় এবং ক্রমান্বয়ে রাজনীতিতে অবস্থান সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়। যার কারণে একই ধরনের ভাবধারার সমর্থকগোষ্ঠীর (আওয়ামী লীগ বিরোধী ও রক্ষণশীল) দুটি রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি বর্তমানে অবস্থান করছে। সমর্থকসংখ্যা কম-বেশি হয় নেতৃত্বের গুণাগুণ এবং চলমান রাজনীতিতে ভূমিকা কার কতটুকু সমর্থকদের মনঃপূত তার ওপর। দেখা যায়, জাতীয় পার্টির যতটুকু শক্তিবৃদ্ধি হয়, বিএনপি ততটুকু শক্তি হারায়। আবার বিএনপির সমৃদ্ধি জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করে।

তবে আওয়ামীবিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন আওয়ামী লীগের ও উদারপন্থীদের জন্য স্বস্তিদায়ক। জাতীয় পার্টির পতনে বিএনপি এবং ওই জোটের রক্ষণশীলদের সমর্থন যেমন আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে সহায়তা করেছে, বিএনপি ও রক্ষণশীল জোটকে ক্ষমতাচ্যুত করার ও ক্ষমতার বাইরে রাখার আন্দোলন এবং নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সমর্থন আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে। সামনের দিনের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি শক্তিশালী হলে ক্ষতি বিএনপির—তারা দুর্বল হবে। ভোটযুদ্ধে আওয়ামী লীগের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। জাতীয় পার্টি দুর্বল হলে ক্ষতি আওয়ামী লীগের, ভোটযুদ্ধে বিএনপির অবস্থান সুবিধাজনক হবে।

জাতীয় পার্টি বিলীন হলে দেশে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও উদারপন্থীরা কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারবে না—এই আশঙ্কা থাকে।

উপরোক্ত বিশ্লেষণ থেকে বলা যায়, আওয়ামী লীগের রাজনীতি হতে পারে সাহায্য-সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো, কিছুটা শক্তিশালী হোক—এটাও আওয়ামী লীগ চাইতে পারে। এ বিষয়টি জাতীয় পার্টির জন্য সুবিধাজনক অবস্থানে যাওয়ার সহায়ক। তবে বিএনপির স্থানে আওয়ামী লীগ বিরোধী ও রক্ষণশীলদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি অবস্থান নিক, জাতীয় পার্টি এতটা শক্তিশালী হোক, এটা আওয়ামী লীগ পছন্দ করবে না, সেটাই যুক্তিসংগত মনে হয়।

বিএনপির রাজনীতি হতে পারে, যেকোনো মূল্যে জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে রাখা। সে ক্ষেত্রে মধ্যপন্থার উল্লেখযোগ্য অংশ ও রক্ষণশীল সব শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে। নির্বাচনী বৈতরণী পাড়ি দেওয়া তাদের জন্য অনেক সহজতর হবে। এই ‘যেকোনো মূল্য’ বিষয়টি জাতীয় পার্টির জন্য সুবিধাজনক। তবে সে পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি স্বকীয়তা বজায় রেখে আলাদা দল হিসেবে টিকে থাকতে পারবে, নাকি বিএনপিতে একীভূত হয়ে যাবে, সে বিষয়ে সংশয় থাকে।

সামনের দিনে নির্বাচনকে ঘিরে যে রাজনীতি, সে পথটি জাতীয় পার্টির জন্য অত্যন্ত বিপত্সংকুল, একই সঙ্গে সম্ভাবনাময়। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এ পথটি অতিক্রম করতে হবে। দুর্বল হওয়ার, অন্য দলের ক্রীড়নক হওয়ার, এমনকি অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার আশঙ্কা যেমন আছে, তেমনি ক্ষমতার চাবিকাঠি হয়ে দেশ পরিচালনায় মুখ্য ভূমিকায় থাকার সম্ভাবনাও আছে। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপই এই অনিশ্চিত পরিবেশ থেকে সাফল্য ছিনিয়ে আনতে পারবে।