জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপির আজ জন্ম দিন। এ উপলক্ষে বেলা ১১টায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়, কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। দলটির শীর্ষ নেতারা এ সময় উপস্থিত থাকবেন।

তার জন্ম দিন উপলক্ষে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক শেরিফা কাদেরের তত্ত্বাবধানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপিত হবে।লালমনিরহাট-৩ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছোট ভাই। তার বাবা মকবুল হোসেন একজন প্রথিতযশা আইনজীবী ছিলেন। ব্রিটিশ আমলে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি কুচবিহার মহারাজার মন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মা মজিদা খাতুন ছিলেন গৃহিণী। চার ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে জিএম কাদের সবার ছোট। স্ত্রী শেরিফা কাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে জড়িত ও বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও রেডিও’র একজন নিয়মিত সংগীতশিল্পী।

মেয়ে ইশরাত জাহান কাদের বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে শিক্ষকতা করতেন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। ছেলে শামস বিন কাদের কম্পিউটার সায়েন্স এবং মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন উভয় বিষয়ে গ্রাজুয়েট। পরে মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিষয়ে লন্ডন কিংস কলেজ থেকে মাস্টার্স (এমএসএস) ডিগ্রিপ্রাপ্ত। তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। বর্তমানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত আছেন। একই সঙ্গে তিনি একজন সংগীতশিল্পী। তার গানের একটি সিডি প্রকাশিত হয়েছে। গোলাম মোহাম্মদ কাদের রংপুর জিলা

স্কুল থেকে ১৯৬৩ সালে এসএসসি, ১৯৬৫ সালে কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করার পর বুয়েট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (মেকানিক্যাল) ফার্স্টক্লাসপ্রাপ্ত (১৯৬৯ সালে)। শিক্ষাজীবন শেষ করে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ টোব্যাকো কোম্পানি, ইরাক সরকারের অধীনে সে দেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ে, যমুনা অয়েল কোম্পানির সর্বোচ্চ পদ জেনারেল ম্যানেজার ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ডাইরেক্টর (প্ল্যানিং ও অপারেশন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনে থাকা অবস্থায় সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে যোগদান এবং দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি প্রেসিডিয়ামের সদস্য পদ লাভ করেন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-৩ আসন থেকে, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসন এবং ২০০৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর তিনি সরকারের মন্ত্রী হন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করেন।