নতুন অর্থবছরের বাজেট ও সক্ষমতার মূল্যায়ন

গোলাম মোহাম্মদ কাদের

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ৬,৭৮,০৬৪ কোটি টাকা (প্রায় পৌনে সাত লাখ কোটি টাকা)। এক কথায়, বাজেটটি গতানুগতিক এবং আগের বছরগুলোর মতো সব খাতকে একটি নির্দিষ্ট হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাজেটে নতুনত্ব নেই, নেই বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে বাস্তবধর্মী কোনো উদ্যোগ। নানা কারণেই পাশ হওয়া জাতীয় বাজেট সফল হবে বলে মনে হচ্ছে না।করোনা-উত্তর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা, জ্বালানি তেলসহ অধিকাংশ পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যাশার কারণে বাজেটকে ‘উচ্চাভিলাষী’ও বলা যায়। যেহেতু পাশ হওয়া বাজেট বাস্তবতাবিবর্জিত, তাই এর সফলতা নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মনে যথেষ্ট সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়ন, রাজস্ব আয় আহরণ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, প্রবৃদ্ধি অর্জন ইত্যাদিতে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। এজন্যই এ বাজেটকে উচ্চাভিলাষী মনে হচ্ছে। এ বাজেট লোক দেখানো এবং বাস্তবতাকে আড়াল করার চেষ্টামাত্র।বাজেটের সামগ্রিক ঘাটতি ২,৪৫,০৬৪ কোটি টাকা বা জিডিপির ৫.৫ শতাংশ এবং বাজেটের ৩৬.১৪ শতাংশ। এ ঘাটতি পূরণ করতে ঋণ নেওয়া হবে মোট ২,৫৮,৭৯৩ কোটি টাকা বা বাজেটের ৩৮.১৭ শতাংশ (বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে ১,১২,৪৫৮ কোটি টাকা বা বাজেটের ১৪.১ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ঋণ ১,৪৬,৩৩৫ কোটি টাকা বা বাজেটের ২১.৬ শতাংশ)। এক কথায় বলা যায়, ২০২২-২০২৩ সালের জাতীয় বাজেট হচ্ছে ঋণনির্ভর। ঋণ গ্রহণ বা প্রাপ্তিতে কোনো সমস্যা হলেই এর বিরূপ প্রভাব পড়বে বাজেট বাস্তবায়নে। অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট হতে পারে।বাজেটে প্রাপ্তি দেখানো হয়েছে ৪,৩৩,০০০ কোটি টাকা সরকারের আয়। পরিচালন ব্যয় দেখানো হয়েছে ৪,১১,৪০৬ কোটি টাকা। এ ব্যয়ের এককভাবে বড় একটি অংশ সুদ হিসাবে ৮০,৩৭৫ কোটি টাকা বা প্রায় এক লাখ কোটি টাকার মতো গৃহীত ঋণের ওপর পরিশোধ করতে হবে (আগে গৃহীত ঋণের সুদ, যেটা আবর্তক ৭৩,১৭৫ কোটি টাকা, প্রতিবছর থাকবে। বৈদেশিক ঋণের ওপর সুদ, যেটা আবর্তক ৭,২০০ কোটি টাকা, প্রতিবছর থাকবে)। সামনের বছরগুলোয় এটা বাড়তে থাকবে। অর্থাৎ এককথায়, সরকার যা আয় করবে বলে প্রাক্কলন করেছে, তার প্রায় সবটুকুই খরচ হবে শুধু সরকার পরিচালনার ব্যয় ও আগে নেওয়া ঋণের সুদ পরিশোধ করতে।বাজেট বাস্তবায়ন ও নানাবিধ কারণে বর্ধিত কর আদায় প্রয়োজন হবে। তবে বর্ধিত কর আদায়ের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা বাস্তবসম্মত মনে হয় না। গত অর্থবছরে রাজস্ব থেকে প্রাপ্তির সংশোধিত বাজটটি ছিল ৩,৩০,০০০ (মূল বাজেটেও একই টাকা ছিল) হাজার কোটি টাকা। বাস্তবে মে, ২০২২ পর্যন্ত আদায় হয়েছে ২,৫২,৯১০.৭৬ কোটি টাকা। যদি একই হারে রাজস্ব আদায় অব্যাহত থাকে, তাহলে অর্থবছর শেষে মোট রাজস্ব আদায় হবে ২,৭৫,৯০২.৬৫ কোটি টাকা। এরপরও ঘাটতি থাকবে ৫৪,০৯৭.৩৫ কোটি টাকা; যেখানে আগামী অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব প্রাপ্তি ৩,৭০,০০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা (১২ শতাংশ) বেশি। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ অর্থ আহরণ অবাস্তব বলে মনে হচ্ছে।সরকারের আয় না বাড়াতে পারলে অথবা পরিচালন ব্যয় কমাতে না পারলে আগামী দিনে ঋণ নিয়ে হয়তো পরিচালন ব্যয়ও নির্বাহ করতে হবে। আগেই বলা হয়েছে, আয় বাড়ানো বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালন ব্যয় কমানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া বাঞ্ছনীয়। যদিও সরকারকে পরিচালন ব্যয় কমানোর কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না।উন্নয়ন ব্যয় ২,৫৯,৬১৭ কোটি টাকা, যার সম্পূর্ণটাই দেশি ও বিদেশি ঋণের টাকার ওপর নির্ভরশীল। আগেই বলা হয়েছে, ঋণ নেওয়া হবে মোট ২,৫৮,৭৯৩ কোটি টাকা (বৈদেশিক ঋণ ১,১২,৪৫৮ কোটি এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ ১,৪৬,৩৩৫ কোটি টাকা)। উন্নয়নের জন্য যে ঋণ নেওয়া হবে, তার কারণে সুদ ও আসল পরিশোধের অঙ্ক আগামী দিনে ব্যাপক হারে বাড়তে থাকবে। এ কারণে পরিচালন ব্যয় বাড়বে।গেল বছরের বাজেটে সংশোধিত এডিপি ছিল ২ লাখ ২১ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। এর বিপরিতে জুলাই থেকে এপ্রিল ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বা ৫৪ শতাংশ। একই হারে যদি বাস্তবায়নের ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে অর্থবছর শেষে এডিপি বাস্তবায়ন হবে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা বা ৬৪.৭৯ শতাংশ।গেল অর্থবছরের বাজেটেও উন্নয়ন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে এডিপি বর্ধিত করে নির্ধারণ করা হয়েছে ২,৫৯,৬১৭ কোটি টাকা, যা গেল অর্থবছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এবং অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায় এডিপি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না ।অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে বেশি ঋণ গ্রহণের ফলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় তারল্য সংকট হবে। বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করবে, যাতে করে নতুন ব্যবসা-বাণিজ্য বা শিল্পকারখানার বিস্তার বাধাগ্রস্ত হবে। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হবে। বেকারত্বের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। বেকারত্বের এ দেশে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করে অভিজ্ঞ মহল।বিদেশি ঋণের ঝুঁকি আরও মারাত্মক। কারণ অর্থমন্ত্রীর কথায় বোঝা যায়, বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভ দিনকে দিন কমছে। কারণ আমদানি ব্যয় বাড়ছে, রপ্তানি আয় তেমন বাড়ছে না। প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো অর্থের পরিমাণও দেখা যাচ্ছে অস্থিতিশীল ও নিুগামী। এ পরিপ্রেক্ষিতে বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার বিষয়ে আরও সাবধানতা অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়। বৈদেশিক ঋণ যত কম নেওয়া যায়, ততই ভালো মনে করি। ইতোমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিদেশি ঋণ সুদসহ পরিশোধ করতে গিয়ে দেউলিয়াত্বের পথে হাঁটছে।অর্থমন্ত্রী বক্তৃতায় বলেছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ অন্য অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ছে। একই সঙ্গে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের জন্য জীবনযাত্রার ব্যয়নির্বাহ করা দিনকে দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৯ সালের নগর আর্থসামাজিক অবস্থা নিরূপণ জরিপে একজন মানুষের গড় খাবার ব্যয়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়। সে খাদ্যতালিকার মধ্য থেকে সাধারণ ২০টি খাবারের (চাল, খোলা আটা, মসুর ডাল মোটা, খোলা সয়াবিন, দেশি পেঁয়াজ, রসুন, আদা, শুকনা মরিচ, হলুদ, রুই মাছ, গরুর মাংস, খাসির মাংস, ব্রয়লার মুরগি, তরল দুধ, গুঁড়া দুধ, ডিম, আলু, কলা, চিনি, লবণ) দাম ৩০ মে, ২০২২ টিসিবির পণ্যমূল্য বিবেচনায় হিসাব করে সিপিডি একজন ব্যক্তির মাসিক ব্যয় নিরূপণ করেছে ৫,৩৩৯ টাকা।গত বছরের একই সময়ের (৩০ মে, ২০২১) তুলনায় শুধু খাবার খরচ মাসে বেড়েছে ১১ শতাংশ। যদিও ঘরভাড়া, রান্নার জ্বালানি, বিদ্যুৎ খরচ, চিকিৎসা ব্যয়, স্বাস্থ্য সুরক্ষা পণ্য ক্রয়, সন্তানের লেখাপড়া খরচ, দৈনন্দিন যাতায়াত ইত্যাদি খরচ উল্লিখিত হিসাবের বাইরে। যদিও এরই মাঝে অনেক পণ্যের মূল্য ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এমন বাস্তবতায় সরকার নির্ধারিত মূল্যস্ফীতির হিসাব ও বাস্তবের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে পার্থক্য বিস্তর বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।সরকারি সংস্থা বিবিএস সম্প্রতি মে, ২০২২-এর সার্বিক মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে দ্রব্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮.৩০ শতাংশ এবং সার্বিক মূল্যস্ফীতি বলা হয়েছে ৭.৪২ শতাংশ। এ পরিপ্রেক্ষিতে পাশ হওয়া বাজেটে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশ হবে, এটা আশা করা অবাস্তব। এটা প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বাস্তবতার তাগিদে আগামী দিনে সরকারকে কর লাঘবসহ ভর্তুকি দিতে হবে। এ কারণে সরকারের প্রাপ্তি কমবে, খরচ বাড়বে; সার্বিক ঘাটতি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সেক্ষেত্রে উন্নয়ন বাজেটগুলো কমাতে হবে। প্রবৃদ্ধির গতি নিুমুখী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২-২৩ বাজেটে প্রবৃদ্ধির হার ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করি।আমাদের মোট ঋণের পরিমাণ (২০২২ পর্যন্ত) ১৩,৫১,০০০ কোটি টাকা। মোট ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৩৩.৯৭ শতাংশ। মাথাপিছু মোট ঋণের পরিমাণ ৭৯,১০৩ টাকা। চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে জিডিপি দেখানো হয়েছে ৩৯ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৫,০০,৬০০ কোটি টাকা বা জিডিপির হিসাবে প্রায় ১২.৫৯ শতাংশ এবং দেশীয় উৎস থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৮,৫০,৪০০ কোটি টাকা বা জিডিপির হিসাবে প্রায় ২১.৩৯ শতাংশ। পাশ হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ঋণের পরিমাণ প্রস্তাব করা হয়েছে ২,৫৮,৭৯০ কোটি টাকা। ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫.৮২ শতাংশ প্রায়। বাজেটে জিডিপি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। বিদেশি ঋণ ১,১২,৪৫৮ কোটি টাকা বা জিডিপির হিসাবে ২.৫৩% প্রায় এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ ১,৪৬,৩৩৫ কোটি টাকা বা জিডিপির হিসাবে প্রায় ৩.২৯ শতাংশ। অর্থাৎ আমাদের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়াল ১৬,০৯,৭৯৩ কোটি টাকা। ঋণের পরিমাণ জিডিপির প্রায় ৩৬.১৮ শতাংশ (এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ৬,১৩,০৫৮ কোটি টাকা বা জিডিপির হিসাবে প্রায় ১৩.৭৮ শতাংশ এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৯,৯৬,৭৩৫ কোটি টাকা বা জিডিপির হিসাবে প্রায় ২২.৪০ শতাংশ)। মাথাপিছু মোট ঋণের পরিমাণ ৯২,৬৬২ টাকা (মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৩৫,২৯৪ টাকা ও মাথাপিছু দেশি ঋণের পরিমাণ ৫৭,৩৬৮ টাকা)।আমরা অনেক সক্ষমতা অর্জনের জন্য গর্ব করি। আমাদের বড় বড় প্রকল্পে কারিগরি কাজগুলো বিদেশি প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সম্পন্ন করা হচ্ছে। নিজস্ব বৈজ্ঞানিক, প্রকৌশলী বা কারিগরদের অংশগ্রহণ ন্যূনতম। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাদের দেশীয় যে লোকবলের অংশগ্রহণ ছিল বলা হয়, তাদের অধিকাংশই হলো অদক্ষ বা স্বল্প দক্ষ মানের; অর্থাৎ আমাদের কারিগরি সক্ষমতা তৈরি হয়নি। এখন দেখা যাক, আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন কীভাবে হয়? পাশ হওয়া উন্নয়ন বাজেট সম্পূর্ণ অর্থায়ন প্রস্তাব ঋণের মাধ্যমে। আগেই বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত বাজেটসহ আমাদের মোট সমষ্টিগত ঋণের পরিমাণ ১৬,০৯,৭৯৩ কোটি টাকা; যার কারণে আগেই বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের প্রত্যেকের ঘাড়ে ঋণের বোঝা ৯২,৬৬২ টাকা। এর মানে হলো, অর্থনৈতিকভাবে আমরা এখনো পরমুখাপেক্ষী। নিজস্ব অর্থে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা অর্জিত হয়নি।তাই বলা যায়, পাশ হওয়া জাতীয় বাজেট উচ্চাভিলাষী ও গতানুগতিক। ঋণপাপ্তি ও ট্যাক্স আদায়ে তারতম্য হলে ঋণনির্ভর জাতীয় বাজেট কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। পাশাপাশি সুদসহ ঋণের কিস্তি পরিশাধে অর্থনীতিতে ধস নেমে আসতে পারে। সে পরিপ্রেক্ষিতে আশঙ্কা হয়, সাধারণ মানুষের জীবননির্বাহ কঠিনতর হবে।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের, এমপি :

চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি