। আমাদের সময়কে জিএম কাদের |
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, জঙ্গিবাদ ইস্যুতে প্রশাসনের সহযোগিতায় সাময়িক সফলতায় সরকার তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছে। তবে এতে শেষ রক্ষা হবে না। তিনি বলেন, এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ জনগণকে বর্তমান সরকার এড়িয়ে চলছে। কিন্তু জাতীয় ঐক্য ছাড়া জঙ্গিবাদ নির্মূল কমর্সূচি কখনই সফল হবে না।

গতকাল শুক্রবার আমাদের সময়ের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান বলেন, ঐক্য-ঐক্য বলে সবাই গলা ফাটাচ্ছে। কিন্তু আসলে জাতীয় ঐক্য বলে কিছুই হয়নি। সরকারের বিশ্বাস, দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এতে তারা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে। আমরা এখনো চাই দেশে একটা জাতীয় ঐক্য হোক। এতে দেশের মানুষ এক প্লাটফরমে চলে আসবে। আর সরকার যদি মনে করে জনগণের সহযোগিতার প্রয়োজন নেই তা হলে তো আমরা জোর করে সহযোগিতা দিতে পারি না।

জিএম কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণকে ছাড়াই বলেছেনÑ জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে। আমরা তো দেখছি সেখানে ১৪ দল ছাড়া আর কেউ নেই। তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিতে তাদের কাছে যেতে হবে। নির্দলীয় কমিটি গঠন করতে হবে। তা হলেই না চলমান ইস্যুতে আমাদের সফলতা আসবে।

জাতীয় পার্টির এ নেতা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম জাতীয় ঐক্য গড়তে সরকার দায়িত্ব নেবে। এটা অবশ্যই তাদের দায়িত্ব। কিন্তু তারা ‘একলা চলো’ নীতি ঘোষণা করল। এখন অন্যান্য দলও সে পথে এগোচ্ছে।

তবে জাতীয় পার্টি জঙ্গিবাদ ইস্যুতে আলাদা কোনো কমিটি গঠন করবে না জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, আমরা এটা গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখছি না। জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলেই জঙ্গিবাদ প্রতিহত করার চেষ্টা করবে। জঙ্গিবাদ নির্মূলে নির্দলীয় গণজোয়ার সৃষ্টি না করলে দলীয় কমিটি-পাল্টা কমিটি দ্বন্দ্ব বাড়াবে। তিনি বলেন, বর্তমানে বিভাজনের রাজনীতিতে জাতীয় ঐক্য অবশ্যই সর্বদলীয় হতে হবে। আমরা এ নিয়ে বিকল্প কিছু ভাবার চেষ্টা করছি।

জঙ্গিবাদকে চরম হতাশার ফল উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, কথা বলার জায়গা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষ চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এই হতাশা-ক্ষোভ থেকেই তারা উগ্র রাজনীতির দিকে ঝুঁকছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চলে যাচ্ছে চরমপন্থার দিকে। এটা এখন আমাদের জাতীয় সমস্যা। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। এ ছাড়া তরুণ-যুবকসহ সাধারণ মানুষ কেন জঙ্গিবাদের পথে যাচ্ছে, সে বিষয়েও কাজ করতে হবে বলে জানান তিনি।